পুরাতন স্মার্ট-ফোন কিনতে যাচ্ছেন ? কেনার আগে যে তিনটি বিষয় মাথায় রাখবেন। Used Smartphone Tips

পুরাতন স্মার্ট-ফোন কিনতে যাচ্ছেন ? কেনার আগে যে তিনটি বিষয় মাথায় রাখবেন! Smartphone Tips


হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন ! বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটা যদি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি যেকোন পুরাতন মোবাইল নিশ্চিন্তে কিনে নিতে পারবেন শুধুমাত্র এই 3 টি টিপস যদি আপনি ফলো করেন।


বর্তমান এমন একটি সময় চলছে যেই সময়ে স্মার্ট ফোন ছাড়া চলা যায় না অর্থাৎ স্মার্ট ফোন ছাড়া 5 মিনিটও ভাবা যায় না এমন একটা যুগ  চলছে বর্তমানে। এতকিছুর পরেও কিন্তু স্মার্টফোন কেনাবেচার ধুম চলছে।  কেউ হয়তো অনেক টাকা দিয়ে দামি দামি স্মার্টফোন কিনছে আবার কেউ হয়তো টাকার অভাবে mid-range বাজেটের স্মার্টফোনগুলো চলছে তবে এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে আপনার আমার সামর্থ্য কতটুকু এই দামী দামী ফোনগুলো কেনার জন্য? যাইহোক যাদের টাকা-পয়সা বেশি তারা হয়ত দামি সেট কিনবে আর যাদের টাকা পয়সা কম তারা হয়তো কম দামি সেট গুলো brand-new ফোন গুলো কিনছেন।snapdragonবাজেট এর থেকেও নিচে তারা কিন্তু পুরাতন ফোনগুলো কেনার চেষ্টা করে সমস্যা কিন্তু তাদেরই।


যাই হোক এখন আমরা দেখি যে পুরাতন ফোন গুলা কেনার আগে আপনাকে কি কি জিনিস মাথায় রাখতে হবে কেননা একটা ফোন কিন্তু একদিন দুই দিনের জন্য কেনা হয় না একটা ফোন কিনে আমরা এই মনে করে যে স্মার্টফোনটা যেন কম করে হলেও দুই থেকে তিন বছর ব্যবহার করতে পারি। এখন সমস্যা হচ্ছে যেহেতু আমাদের বাজেট কম এর জন্য আমরা নতুন ফোন কিনতে পারি না। এখানে আরো একটা কথা আমি আপনাদেরকে বলে রাখি যারা নতুন ফোন কিনে তারা কিন্তু মোটামুটি ভালো টাকা-পয়সা খরচ করেই ফোন কিনে কিন্তু যারা পুরাতন ফোন গুলো খুঁজে কম বাজেটের ভিতর তারা কিন্তু অনেক কষ্ট করে সেই টাকাগুলা জমা করে এবং তারপর স্মার্টফোনগুলো কিনতে চায়। তাই আমরা এই বিষয়ে লিখছি।


আবার দেখা যায় যার কাছ থেকে স্মার্টফোনটা কিনবে সেও প্রতারণা করে ! কিভাবে? ধরুন আমার ফোনটাতে অনেক ধরনের সমস্যা! যেমন :- ব্যাটারিতে, বেশিক্ষণ CHARGE থাকেনা, মোবাইলের ডিসপ্লেতে সমস্যা, টাচ বন ক্যামেরাতে সমস্যা অথবা কোথাও ভেঙে গেছে অথবা ফেটে গেছে হাত থেকে পড়ে ইত্যাদি। নরমালি কিন্তু এই সমস্ত কারণেই স্মার্টফোনগুলো বেশি বিক্রি হয়ে থাকে এখন কথা হচ্ছে যখনই আপনি একটা শখ করে এত কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে একটি স্মার্টফোন কিনতে যাবেন তখন যদি আপনার ফোনটা কিনে আপনি বাসায় এনে দেখলেন যে ফোনটাতে উপরোক্ত যে কোন সমস্যা আছে অথবা একটা সমস্যা হলো যেটা কেনার সময় যে বিক্রি করেছে সে আপনাকে এটার ব্যাপারে জানালো না।  ইত্যাদি ধরনের সমস্যা আপনি ফেস করতে পারেন যদি পুরাতন মোবাইল কেনার আগে আপনারা এই তিনটি টিপস ফলো না করেন তো কিসে তিনটি টিপস সেটা আমি আপনাদেরকে এখন বিস্তারিত বলবো চলুন পয়েন্ট আকারে মনোযোগ সহকারে পড়ে এবং বুঝি।


স্মার্টফোনে আসলে দেখার মতো করে দেখলে অনেক কিছুই আছে তবে যেই জিনিস গুলো না দেখলেই নয় এরকম তিনটা বিষয় নিয়ে আমি আপনাদেরকে নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি।


  • 1- Battery : সর্বপ্রথম আমরা দেখব পুরাতন ফোন কেনার আগে যে এই ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ ঠিক আছে কিনা! কারন যখনই একটা একটা স্মার্ট ফোন কিনতে যাবেন সবার প্রথমে চেক করবেন যে ব্যাটারি কত এম্পিয়ারের এবং এই ব্যাটারিটা কিসের তৈরি অর্থাৎ lithium-polymer ইউজ করা হয়েছে নাকি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ইউজ করা হয়েছে। এই জিনিসগুলো দেখবেন কেননা যদি আপনার ব্যাটারীতে lithium-polymer ইউজ করা হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যাটারিটা অনেকদিন টেকসই হয় এবং সেটা CHARGEধরে রাখতে পারে দীর্ঘক্ষণ তাই এই জিনিসটা দেখে নিবেন। আরো একটা জিনিস দেখবেন যে ব্যাটারি তে ঠিকঠাকমতো CHARGE থাকে কিনা এবং এখানে আমি আপনাদেরকে একটা বুদ্ধি দেই আপনারা যখন ফোন কিনবেন এর আগে একদিন পুরা ফোনটাকে আপনার কাছে রাখবেন এবং পুরো দিন চালিয়ে দেখবেন যে ফোনটাতে কোন সমস্যা আছে কিনা অথবা CHARGEকেমন থাকে বিস্তারিত আপনি একদিন যদি ফোনটা চালান তাহলে সবকিছু বুঝতে পারবেন বলে আমরা আশা রাখছি। সর্বপ্রথম আমি ব্যাটারির কথা বললাম কারণ হচ্ছে স্মার্ট ফোন চালাতে গেলে একটি বড় পাওয়ারফুল ভালো কোয়ালিটির ব্যাটারির প্রয়োজন হয় কারণ আপনার ফোন যদি হাজার টাকা লাখ টাকা দামের হয় কিন্তু সেটাতে যদি CHARGEবেশিক্ষণ না থাকে তাহলে কিন্তু সেই ফোনটা আপনাকে খুশি করতে পারবে না।


  • 2: Processor: Snapdragon And MediaTek Helio (G) 

এখন আমি আপনাদেরকে একটি মোবাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে পার্ট সেটা হচ্ছে প্রসেসর এটা নিয়ে কথা বলব! একটি স্মার্টফোন কে নিয়ন্ত্রণ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে হচ্ছে প্রসেসর পুরাতন স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই অবশ্যই সেই স্মার্ট ফোনের প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা দেখে নেবে যাচাই করে নেবেন। অনেকেই প্রশ্ন করবেন যে ভাই অনেক কিছুই তো চেক করা যায় RAM কত জিবি আছে রম কতটুক আছে বিস্তারিত তো ফোনে পাওয়া যায় কিন্তু ফোনের প্রসেসর এটা কিভাবে দেখব এবং কিভাবে যাচাই করব যে প্রসেসর টা ভালো আছে নাকি খারাপ? এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এই প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাদেরকে বলছি যে প্রসেসর চেক করার জন্য আপনারা কয়েকটা হেবি হেবি গেমস ইনস্টল দেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই ফোনটার পারফরম্যান্স কেমন। এই ফোনটা কি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারবে কিনা!  অথবা আপনি যদি এই ফোনটাতে হেবি হেবি কয়েকটা গেমস এবং হেভি কয়েকটা সফটওয়্যার ইনস্টল দেন এবং রেগুলার ইউজ করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা সেই ফোনটা তে কেমন আছে। 


এটার জন্য ছোট্ট একটা Hint আমি আপনাদেরকে দিয়ে দেই - উপরোক্ত কাজগুলো করার সময় যদি আপনার সফটওয়্যারগুলো এবং গেমস গুলো খুবই স্পিডে চলে কোন ধরনের ল্যাগিং না করে  তাহলে বুঝবেন যে আপনার প্রসেসরটি ঠিক আছে এবং এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকদিন আপনি মোবাইলটি ইউজ করতে পারবেন।


  • 3:- Hardware Section And Ram - ROM

এটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট 3 পয়েন্ট এর ভিতর! একটি মোবাইল সম্পূর্ণ অপারেট করে প্রসেসর কিন্তু সেই প্রশ্নটা যেটার উপর বসানো থাকে নির্ভর করে সেটা হচ্ছে হার্ডওয়ার সেকশন যে থেকে আমরা ফোনের মাদারবোর্ড বলতে পারি।  এই মাদারবোর্ড টা ঠিক আছে কিনা এটা ভালোমতো চেক করে নিবেন কারণ যখনই এই ফোনটা পানিতে পড়ে যাবে অথবা কোনো ধরনের আঘাত প্রাপ্ত হবে তখন কিন্তু সর্বপ্রথম ফোনের হার্ডওয়ার সেকশন মাদার্বোর্ড এ আঘাত লাগে। আর ঠিক এই কারণেই কিন্তু অনেক ফোনের সমস্যা দেখা দেয় এবং এর জন্য ফোনটি পুরাতন হিসেবে বিক্রি করে দেয় আর সেই ফোনটায় আপনি আমি হয়তো কিনে থাকি। তো এগুলো আপনারা অবশ্যই দেখবেন যে হার্ডওয়ার ঠিক আছে কিনা বা নাট ইস্ক্রু এগুলো ঠিকঠাক মতো লাগানো আছে কিনা। 


RAM এবং রম এই জিনিসগুলা আপনাদেরকে যেমন ভাবেন না দেখলেও চলবে তবে এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে RAM কতটুকু আসলে। RAM কি কাজে লাগে সেটা হয়তো অনেকে জানেন না। RAM হচ্ছে যখন আপনি কোন মাল্টিটাস্কিং করেন অথবা কোন গেমস বা হ্যাভি সফটওয়্যার চালাবেন খেলার সময় যদি সেখান থেকে বেরিয়ে যান, বেরিয়ে অন্য একটা সফটওয়্যার ওপেন করলেন সেই সফটওয়্যার এর কাজ শেষ করে যখন আবার আপনি আগের ওপেন করার সফটওয়্যার টার ভিতরে ঢুকবেন তখন সেটাকে দেখবেন আগে যতটুক এগিয়েছিলেন পরবর্তীতে ঠিক ঐ অবস্থায় সেটাকে পাবেন এটাই হচ্ছে স্মার্টফোনের র্যাম এর কাজ কাজ।


 তো এটা যদি বেশি হয় তাহলে আপনাদের জন্য সেটা প্লাস পয়েন্ট হবে! কেননা RAM যদি বেশি হয় তাহলে আপনি multi-tasking এবং হেভি হেভি কাজ করতে পারবেন বেশি। আর এই সমস্ত জিনিস গুলো আপনার একটা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে চেক করতে পারবেন সেটা হচ্ছে Antutu Benchmark সফটওয়্যার টা দিয়ে! আর ROM এর কথা নাই বললাম কেননা ROM হচ্ছে একটি মেমোরির মত।  মেমোরি দিয়ে আমরা যা করি, মেমোরি বলতে আমরা যা বুঝি, যে মেমোরির ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ফাইল, ভিডিও, অডিও , সফটওয়্যার ইত্যাদি রাখা যায় ঠিক সেম Rom এর ক্ষেত্রেও।  মেমোরি দিয়ে যেই কাজ করা হয়- ROM দিয়েও ঠিক একই কাজেই হয়।  তাই ROM এর জন্য আলাদাভাবে আর লিখলাম না। 


আশা করি আপনারা এই পোস্টটা পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারলেন এবং পুরাতন ফোন কেনার আগে আপনারা এই তিনটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখবেন তাহলে আর কেউ আপনাদেরকে ঠকাতে পারবেনা স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ।


এই পোস্ট টা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।  স্মার্টফোন সম্পর্কে আমাদের এই সাইটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস এন্ড ট্রিকস রয়েছে যেগুলো আপনারা করলে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং অনেক কিছু শিখতে পারবেন।


Post a Comment

Previous Post Next Post

Ads in post 4

Ads in post 5