Facebook New Update যে নতুন নিয়ম গুলো প্রত্যেকের জানা জরুরী | নয়তো Lock হতে পারে আপনার fb Diskbd.com

Diskbd, diskbd, diskbd.com, bd disk, bddisk, diskbd,

Facebook New Update যে নতুন নিয়ম গুলো প্রত্যেকের জানা অতিব জরুরী | নয়তো Lock হতে পারে আপনার fb   

সুপ্রিয় দর্শকঃ শ্রোতা আপনাদের সকলকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। 

আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। তো আমি আপনাদের সামনে আজ Facebook এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্টি আপডেট নিয়ে হাজির হয়েছি যা আপনার আমার প্রত্যেকের জনা দরকার। চলুন বিস্তারিত জেনে নে।   

আপনারা ইতিমধ্যে অনেকেই অনেক ধরনের কোশ্চেন আমাদের এই ওয়েবসাইটে করেছেন যে আসলে অনেক ধরনের গুজব শোনা যাচ্ছে। আসলে কি সেগুলো গুজব নাকি সত্যি? আমরা অনেকে শুনতে পাচ্ছি যে ফেসবুক নাকি কিছুদিনের ভিতর বন্ধ করে দেয়া হবে। যারা টু স্টেপ অথরাইজড করেছে অর্থাৎ যারা নিজেদের আইডি কে সিকিউর করেছে তাদের ফেসবুক লক হবে না। আজকে আমি আপনাদেরকে সে সম্পর্কে জানানোর জন্য এই পোস্টটি করেছি। আশা করি আপনার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।তাহলে বুঝতে পারবেন যে আসলে এই "Two Step Authorisation" টা কি বা আমরা সেটা কিভাবে করতে পারি এবং আমাদের ফেসবুক বন্ধ হওয়ার থেকে কিভাবে আমরা সেটা বাঁচাতে পারি বা হ্যাকারদের হাত থেকে আমাদের ফেসবুক যাতে নিরাপদ থাকে সে ব্যবস্থা কিভাবে গ্রহণ করতে পারি। তো সে জন্যই আজকের এই পোষ্ট। আশা করছি এই পোস্টের গুরুত্বও আপনারা বুঝতে পারছেন তো এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন সম্পূর্ণ না পড়লে কিন্তু আপনারা কিছুই বুঝতে পারবেন না তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা সরাসরি কাজে চলে যাই।

চলুন প্রথমেই শুরু করেছি বর্তমানে ফেসবুকের কি হয়েছে যার কারণে এই আপডেটটা দিচ্চে। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফেসবুক কিছুদিন আগে তাদের সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। সেটা কি কারণে হয়েছে এমনকি মার্ক জাকারবার্গ সেটা সঠিক করে বলতে পারছেন না। তো কি কারনে হচ্ছে বা হ্যাকাররা সেটা করছে কি না সে সম্পর্কিত সিকিউরিটি, ফেসবুক থেকে অনেকে বলছে যে ফেসবুকের তথ্য অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে বা কেউ বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছে বা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এরকম ধরনের অনেক তথ্য সামনে চলে আসছে। তো এই সব তথ্যের মধ্যে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা এইসব যাচাই না করে ফেসবুক তাদের সিকিউরিটিকে আরো কঠিন করল। যাতে করে এই সব কথা থেকে তারা বাঁচতে পারে এবং সাথে সাথে তাদের যারা কাস্টমার বা যারা গ্রাহক অথবা যারা এর ইউজার সবাই যাতে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারে সে জন্যই তারা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া আগের ফেসবুক একাউন্ট গুলোর তুলনামূলক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিন্তু খুব সহজ। এমনকি একজন সাধারন মানুষ খুব সহজেই যে কারো ফেসবুক আইডি খুব সহজেই ব্যবহার করে ফেলতে পারতো। কিছুদিন যাবত সেটা করতে পারছে না। তবে বিভিন্ন ভাবে তারা চেষ্টা করছে ফেসবুকের বিভিন্ন তথ্য নেয়ার জন্য এবং অনেকে তা করছে তো সে যে  ক্ষেত্রেও কিন্তু আমাদের ফেসবুক আইডি গুলো নিরাপদ করার জন্য ফেসবুক এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে আমরা ফেসবুকে নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের সিকিউরিটি শক্ত হয়। কিভাবে আমরা সেটা করতে পারি বা কি করলে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি? যাতে আমাদের তথ্য অন্য কেউ না পায় বা কেউ কারো তথ্য নিয়ে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।তো আজকে আমি আপনাদেরকে সেই টিপসটি দেখাবো তো চলুন এবার আমরা কাজে চলে যাই।

আমরা আপনাদের প্রথমে বলে দিয়েছি যে ফেসবুক কিভাবে তাদের এই "টু স্টেপ অথোরাইজেশন" বা তাদের নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে সেটা। এখন আমরা এটা দেখাবো যে কিভাবে আপনারা সেই কার্যপ্রণালী অনুসরণ করে আপনাদের ফেসবুক একাউন্ট গুলোকে আরো সুরক্ষিত করতে পারেন তো চলুন এবার আমি আপনাদের সরাসরি কাজে নিয়ে যাই। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন থাকতে হবে। আবার অনেকে বলবেন যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন থাকতে হবে কেন? আসলে লগইন না থাকলে তো তারা সেই সেটিংস টা অন করতে পারবেন না তাই অবশ্যই আপনাকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন থাকতে হবে। একাউন্টে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর, আপনারা চলে যাবেন একদম কর্নারে তিনটা দাগ আছে সেখানে। তিনটা দাগে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন প্রথমে কিছু অপসন আসছে সাথে সাথে আপনারা নিচে স্ক্রল করলে দেখতে পারবেন সেখানে লেখা আছে সেটিংস। 

সেটিংস এ যাওয়ার পর অনেকের জেনারেল সেটিংস বা সরাসরি সেটিংস আরেকটা অপশন চলে আসে সেখানে চলে যাবেন। সেটিংসে যাওয়ার পর সেখান থেকে ক্লিক করবেন সেটিংস ও সিকিউরিটি তে। সেখানে যাওয়ার পর সেখানে আপনারা দেখতে পারবেন যে হোয়াটস ইম্পর্ট্যান্ট ফর ইউ এইরকম একটা অপশন। আপনাদের একবারে প্রথমে চলে আসবে। তো এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে আপনাদের প্রোফাইল আইকন এর নিচে দেখাচ্ছে যে কিছু ইস্যু ফিক্স করা লাগবে তো ফিক্স now-এ ক্লিক করবেন। নিচে দেখতে পাচ্ছেন ফিক্সড নাও নামে অপসন এ ক্লিক করলে,আপনাকে নিয়ে যাবে আরএকটি পেজে সেখানে গিয়ে আপনারা আপনাদের সবগুলো অপশন অন করে দিন। সেখানে দেখতে পাচ্ছেন যে messenger-text এবং আরও একটা অপশন আছে তিনটা অপশন এ আপনারা অন করে দেন। অন করে দিয়ে ব্যস আপনার ব্যাকে চলে যান এবার দেখাচ্ছে যে আপনার ইস্যুটা ঠিক হয়ে গেছে। এই ইস্যুটি ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আপনারা এখান থেকে সরাসরি বের হবেন না। আপনার যেখানে আছেন  সেখানে দেখুন নিচে একটা অপশন আছে টু ফ্যাক্টর অথোরাইজেশন সেই অপসন এ আপনারা ক্লিক করুন। করার পর একটি অপশন চলে আসবে সেখানে লেখা আছে গেট স্টার্টেড। 

সেখানে আপনারা এ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনাদের দেখতে পারবেন যে আপনি যে ইমেইল বা যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার ফেসবুক খুলেছেন সেটা আপনার সামনে চলে আসবে এবং আপনারা সেখানে একটি কোড পাবেন। এ কোডটি আপনারা সেখানে বসিয়ে দিন আর যদি আপনার নতুন কোন আরো মোবাইল নাম্বার অ্যাড করতে চান তাহলে সেটাও এখান থেকেই এড করতে পারেন। তো আপনার অর্থাৎ আপনি যে সিম দিয়ে বা জিমেইল দিয়ে আপনার এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন সেখানে যখন আপনি এই কোডটি পেয়ে যাবেন, তখন সেটি বসিয়ে দিন বসিয়ে দিয়ে যাস continue-এ ক্লিক করুন এখন আপনার কাছে এখানে শেষ।

এতক্ষণ যা করলেন সেটা হল আপনারা যারা টু ফ্যাক্টর অথোরাইজেশন টা অন করে দিলেন। এবার আপনাদের নিরাপত্তা প্রহরীর জন্য আপনারা যাতে ভবিষ্যতে যদি কোন সময় টেক্সট মেসেজ নাও পান কিংবা কেউ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরি করার চেষ্টা করে তার কাছে যাতে কোড না যায় সেজন্য আপনাদের আর ও একটি কাজ করতে হবে। আপনার যেখানে কাজ শেষ করেছেন কন্টিনুয়ে ক্লিক করার পরে আপনারা যে পেজে আছেন সেখানে দেখতে পারবেন যে নিচে আবার লেখা আছে two-factor অথোরাইজেশন আপনারা সেই অপশনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর গেট ইউর কোড নামে একটি অপশন আসবে সেখানে একটি ক্লিক করুন। অনেকের ক্ষেত্রে এই অপশনটা দেখাতে পারে রিকভারি কোড তো আপনারা সেই অপশনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনারা দেখতে পারবেন যেখানে অনেকগুলো কোড চলে আসছে সে কোডগুলো অবশ্যই অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ন কোড। অর্থাৎ আপনারা ভবিষ্যতে যাতে ফেসবুকে বিনাদ্বিধায় কোড ছাড়াও যাতে প্রবেশ করতে পারেন সেই টেকনিক এখানে দেওয়া আছে অর্থাৎ এই কোডগুলো কিন্তু আপনাদের মনে রাখা অথবা কোথাও লিখে রাখা অথবা নোট করে রাখা অথবা মোবাইলে কোন জায়গায় সেভ করে রাখা যেখান থেকে কেউ পাবে না এমন জায়গায় রাখতে হবে। আর এই কোডগুলো আপনি কাউকে দিবেন না এগুলো যখন আপনি পরবর্তীতে লগইন করবেন তখন আপনার কাজে লাগবে। 

এবার দেখতে পাচ্ছেন যে কোডগুলো নিচে কিন্তু কপি কোড এবং ওপরে লেখা আছে যেগুলো কোড গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং লগ ইন এ সাহায্য করবে সেখানে জাস্ট কপি কোডগুলো কপি করে আপনাদের যেকোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে দিবেন। যাতে সেটা কেউ না পায় আপনার কাজ শেষ এবার আপনি যখন ফেসবুকে পরবর্তীতে লগইন করবেন আপনার মোবাইলে কোড যদি নাও আসে সে ক্ষেত্রে আপনারা এই নোট করা কোডগুলো থেকে যে কোন একটা করে দিলেই হবে আর আপনাদের সুবিধার জন্য এটাও বলে রাখি যে এই কোডগুলো কিন্তু একবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না। তো আপনারা চেষ্টা করবেন যে প্রত্যেকবার লগইন করার সময় আলাদা আলাদা কোড ব্যাবহার করার জন্য। আর যদি কোন শেষ হয়ে যায় তাহলে ওই অপশন এ গিয়ে আবার চেক করবেন আবার নতুন করে দেওয়া হবে এভাবে আপনারা ফেসবুকের সুরক্ষা আরো আপনার একাউন্টে সুরক্ষা বাড়িয়ে দিতে পারবেন।

আশা করছি আপনাদের এই পোস্টটি অনেকটাই কাজে দেবে কারণ এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। এবং আপনাদের সুবিধার জন্য আরেকটি কথা বলে দেই যারা ২৮ শে অক্টোবর এর আগে এই অপসন বা টু ফ্যাক্টর অথরাইজেশন করবেন না তাদের ফেসবুক কিন্তু ব্লক হয়ে যাবে এবং এটা সত্যি। তো আপনারা সবাইকে জানিয়ে দেবেন এবং আমাদের এই পোস্টটি তাদের কে দেখিয়ে দেবেন যে তারা কিভাবে সেটা অন করতে পারে। আশা করছি আপনাদের এই পোস্টটি খুবই কাজে লাগবে এবং আপনাদের ভবিষ্যৎ ফেসবুক আইডি নিরাপত্তা প্রদান করবে। তো আমাদের পরবর্তী পোস্টের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমরা এখানেই শেষ করছি। 

এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।